জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা হারাম

জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা হারাম
জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা শুধু হারামই নয়, বরং জ্যোতিষীর নিকট গমন করা, তাঁর দেয়া ভবিষ্যদ্বাণী শ্রবণ করা , এ সংক্রান্ত বইপত্র ক্রয় অথবা কারো ভাগ্য গণনা করাও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘গণকের নিকটে কোন ব্যক্তি গমন করে যদি তাকে কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে ৪০ দিন ও ৪০ রাত পর্যন্ত তাঁর সলাত কবুল হবে না।’ (সহীহ মুসলিম)
‘যদি কেউ গণকের বা জ্যোতিষীর নিকট গমন করে তাঁর কথায় বিশ্বাস করল, তাহলে সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ বিষয়কে অবিশ্বাস করল।’ (সুনান আবু দাউদ)
‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, (১) মাদকাসক্ত ব্যক্তি (২) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী এবং (৩) যাদুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী।’(মুসনাদে আহমাদ)
মানুষের অজ্ঞাতসারে বর্তমানে স্পষ্টত জ্যোতির্বিদ্যার যে ক্ষেত্রে মানুষ নিমজ্জিত হচ্ছে তা হল, ব্যাপকভাবে পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত ও প্রচারিত রাশিফল বা রাশিচক্র। এটি হল তাসীরী জ্যোতির্বিদ্যা এবং তা গণকদের কর্মের অন্তর্ভুক্ত। অতএব এটিকে সার্বিকভাবে প্রতিহত করা অপরিহার্য। এ ধরণের পেপার পত্রিকা ঘরে উঠানো, পড়া ও তা সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেননা যে রাশিফল সম্বলিত পত্রিকা গ্রহণ করল, পড়ল ও তার সেই রাশি সম্পর্কে জানল যাতে সে জন্মগ্রহণ করেছে বা তাঁর উপযুক্ত রাশি নির্ণয় করল ও সে সম্পর্কে পড়ল তবে সে গণকের নিকটেই এসে সেগুলো সম্পর্কে জানল যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। অতএব, রাশিফল সে যা পড়ে জানল তা সত্যি মনে করে তবে অবশ্যই সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর যা নাযিল হয়েছে তাঁর সাথে কুফরী করল। সুতরাং রাশিফল প্রয়োগকারী হল, গণকদেরই অন্তর্ভুক্ত ও তাওহীদের পরিপন্থী।
হে মুসলিম! এসব হতে সাবধান! থাকুন। নিজে বাচুন , নিজের পরিবার পরিজনকে বাচান।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে তাওহীদের পরিপন্থী সকল প্রকার কর্ম হতে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক। আমীন।
First