বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামি জাদুঘর হচ্ছে সৌদিতে

islam o jibon
মক্কা মিউজিয়ামের নকশা 
সৌদি আরবের মক্কা নগরকে ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই শহর যেন পরিণত হচ্ছে বিলাসী এক নগরে। বর্তমান সৌদি সরকার পর্যটন থেকে বছরে প্রায় ছয় বিলিয়ন ইউরো আয় করে। এই আয় বাড়াতে মক্কাকে আরও পর্যটনবান্ধব করে তোলার জন্য বানানো হচ্ছে আধুনিক বিলাসবহুল সব স্থাপনা।

সে জন্য এরই মধ্যে ভেঙে ফেলতে হয়েছে প্রাচীন অনেক স্থাপনা। ২০৪০ সাল নাগাদ সেটা আরো বড় করার পরিকল্পনা আছে সৌদি আরবের। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মক্কার মানাফিয়া অঞ্চলে ‘মক্কা মিউজিয়াম’ নামে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইসলামি জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০৩০ সাল মেয়াদী সৌদি সরকারের মেগা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি জাদুঘরটি নির্মাণ করা হবে।

জাদুঘরটি নির্মাণে সেরা নির্মাণ সরঞ্জাম এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক মানের এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হলে- এটা হবে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের স্থান। এখানে এসে পর্যটকরা ইসলামের ইতিহাস, নতুন অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম উপভোগ করতে পারবেন।

সৌদি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে, এই জাদুঘরে মূল্যবান ঐতিহাসিক বস্তু এবং প্রাচীন ইসলামি যুগের জিনিস সংগ্রহ করে উপস্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, জাদুঘরটি ইতিহাসপ্রিয়, বিজ্ঞান গবেষক, মুসলিম পণ্ডিত, সুস্থ ইসলামি চিন্তাধারার লালনকারী ও ইসলামি সংস্কৃতির অনুসারীদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হবে। বৃহৎ এই জাদুঘরে থাকবে সমৃদ্ধ একটি পাঠাগার ও গবেষণার জন্য আলাদা বিভাগ।

জাদুঘর উদ্যোক্তাদের মতে, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে সৌদি আরব এমন একটি দেশে পরিণত হবে- যেখানে আগত গবেষকরা ইচ্ছা করলে, ইসলামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবহিত হতে পারবে।

এই জাদুঘরে পুরনো মুসলিম ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক জিনিসসমূহ, আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবে মোট ১৩২টি জাদুঘর আছে। এর ত্রিশটি রয়েছে মক্কায়। যদিও সরকারের অনুমোদন রয়েছে মাত্র সাতটি জাদুঘরের।
Previous
Next Post »